DEHLIJ

ঝুমা চট্টোপাধায়

রিজওয়ানুর 





যেভাবে  প্রিয়বিচ্ছেদের দৈর্ঘ্য ও  যতটা  ভালোবাসার  প্রস্থ  ও  উচ্চতায়, কিছুটা মিথ আর, উন্মুখ  জীবন যেমন  এখনও নশ্বরতার  পরেও  এগিয়ে  যাচ্ছে  … আরেকবার তবু বলতে ইচ্ছে হয় কৈ এবার চিৎকার কর মেয়ে দেখি কতদূর গলা যায়… সব  সময়  তো  দেখি  লাইভে  থাকিস  রিজ তাহলে কি আমরা শুধু মোমবাতি হাতে নীরব!সব গঙ্গাজলে এখন তবে কিরা?  শুনতে  কি  খুব  ডিসগাস্টিং  লাগছে  তোর ? এসব  এখন উচ্চারণ করা খুব সোজা বুঝলি কিছু বানানো কিছু বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৈরী করা ঝুট-ঝামেলা  দ্যাখ  রিজবানুর  তোকে  যেমন  আমার  সাতজন্মের  কথা  শেয়ার  করেছি  তেমন  এটাও। আমি  তো  সারা  জীবনটা ধর্ম টর্ম নিয়ে কিসুই ভাবিনি কোনো পুজো কোনো হোম-যজ্ঞ কোনো মিলাদ সবে বরাত  কোনো মৌ্লবীর নিদান আর ভাবতে  গেলেই তুই  তো  জানিস মূর্তি ভাঙ্গা হল কেন বা তালাক কেন বল্ল এসব কানে আসে ঠিকই কিন্তু কেন যে এগুলোর গায়ে ধর্মের লেবেল লাগিয়ে দেয় কে জানে বাপু কারণ এগুলো তো স্রেফ খুন খারাপি মারামারি শোষণ ব্যক্তিগত  অহং-উদ্ভূত প্রাকৃ্তিক লড়াই।না এতে কৃষ্ণ আছে না মহম্মদ। আফগানিস্তান বা বাংলা্দেশে যা যা ঘটে যাচ্ছে কেন একে ধর্মীয় দাঙ্গা বলছে আরেহ্ কেউ তো তা ভাবো! যখন দশজনে মিলে একজন মেয়েকে ধর্ষণ করে যখন পাঁচজনে মিলে এক বলির পশুকে হারিকাঠে বলি দেয় কিংবা যখন জঙ্গল সাফ করে প্রোমোটারী করা হয়,  ক্রীতদাস বানানো হয়… হত তো আগে  ,তো এসব ক্ষেত্রে যে আদিম বৃত্তি কাজ করে এসেছে এক্ষেত্রেও সেটাই ।ছাগলের গায়ে জোর কম তো মেরে আমরা খেয়ে নিই,কি হিন্দু কি মুসলিম। কৈ সিংহ মেরে খাওয়ার কথা তো চট্ করে আসে না,  রিজবানুর তোরা যাকে ধর্মীয় ক্ল্যাস বলছিস কোনো ধর্মবৃত্তি নাইই তাতে ,আছে প্রাকৃ্তিক আদিমতা ও বিকৃত ফিলোসফী।আল্লাহ-ইল-জামিয়া বা সর্বভূতস্থ-আত্মানং –বল তো এগুলোর মধ্যে কোথায় ধর্মর কথা বলা হয়েছে? ধর্মকে আগে প্রাকৃ্তিক নোংরা অভ্যাস থেকে পৃথক কর রিজ, আমরা একশন –রিএকশন যতটা বুঝি কমেন্ট বক্সের কমেন্ট বুঝি কিন্তু তলিয়ে নিজেদের প্রকৃ্তি বুঝতে চাই না,বুঝিও না। দ্যাখ রিজ এই তোদের মতন যারা সিঁড়ির চাতালে দাঁড়িয়ে আছিস তো ফোন টয়লেট যাচ্ছিস তো ফোন অত বুঝবি না এসব। লা-ইল্লাহা সর্বভূতস্থ ইত্যাদি ইত্যাদি ভাষাটা মন দিয়ে লক্ষ্য করে দেখ।কেমন নির্ভার, লঘুপক্ষ,  চিত্ররূপময়, ও  কাব্যধর্মী  এক  ভাষা  যাতে  লৌ্কিক  আঢপৌঢ়ে  শব্দের  সাথে  ব্যবহৃত  হচ্ছে  অজস্র  তৎসম  ও  তদ্ভব  শব্দ। ফলত  ভাষাটা  হয়ে  দাঁড়াচ্ছে  একই  সঙ্গে লালিত্য  ও  শক্তির  এক  যুগপৎ  আধার। বক্তব্যের  ভার ভাষার ভারকে  ছাপিয়ে  উঠছেনা।  


তুই  একবার  আসিস  রিজবানুর বুঝলি? ইত্মিনান সে বসে তোকে এক এক করে বুঝাবো দাসী-বাঁদি, লাঠি-লাদনা, মেজাজ-মর্জি ,   শব্দ গুলো  খেয়াল  করেছিস কখনও ,তৎসম  আরবী দেশী সব মিলে মিশে  কেমন  তৈরী আর  প্রত্যেকটার  বুৎপত্তিগত  অর্থও  কেমন এক।  যেমন  দাসীও যা  বাঁদীও তাই , দাসী  বাংলা শব্দ  বাঁদী  আরবী  শব্দ। লাঠির  অর্থ যা লাদনাও  তাই। অথচ  উচ্চারন  করবার  সময়    এই  দুইই  শব্দই  একইসাথে উচ্চারিত হয়ে এসেছে। এই রকম  কত  শব্দ  যে আমরা দীর্ঘকাল  চলতি বাংলায় ব্যবহার  করে …… হে হে আমার না যখন তখন শব্দ-ভাবনা পায় ,এইরকম…,কারণ আর কিছুই না, দীর্ঘকাল দেখা সাক্ষাৎ না হলে পাগলদেরও তো পাগল পাগল লাগে নাকি?......  



No comments